Blog Post

CNTV CTG > বাংলাদেশ > বেনজীরকে ৫ কোটি টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগে মামলা

বেনজীরকে ৫ কোটি টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগে মামলা

চট্টগ্রামে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদকে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মামলায় আসামি করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ নিবরাস। বেনজীর ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও র‍্যাবের সাবেক এএসপি মহিউদ্দিন ফারুকী।

বাদীর আইনজীবী আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর বাবা নুর মোহাম্মদ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। খানজাহান আলী লিমিটেডের কর্ণধার। সাবেক আইজিপি, তৎকালীন র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁকে বন্দর থানার চোরাচালান ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামি করেন। কিন্তু তদন্তে ডিবি পুলিশ নুর মোহাম্মদের নাম বাদ দেয়। ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি কথা আছে বলে তাঁকে নগরের পতেঙ্গায় র‍্যাব কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। বেনজীরের জন্য পুনরায় পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেন এএসপি মহিউদ্দিন ফারুকী। আর নিজের জন্য দাবি করেন এক কোটি টাকা। কিন্তু কোনো টাকা না দেওয়ায় বাদীর বাবাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।

২০১৫ সালের ৬ জুন পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আসা সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ১টি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।

কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে চোরাচালানের অভিযোগে এই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও সংযোজন করা হয়। সাড়ে চার মাস তদন্তের পর ২০১৫ সালের নভেম্বরে আটজনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগপত্র আদালতে দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে র‍্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। তেলের চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, তাঁর ভাই মোস্তাক আহমেদসহ ১০ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *