ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে ‘প্রত্যাখ্যান’ করতে লেবাননের মানুষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এর মধ্য দিয়ে লেবাননের মানুষকে ‘গাজার মতো’ ধ্বংসযজ্ঞ ও দুর্ভোগ এড়াতে বলেছেন।
দক্ষিণ–পশ্চিম লেবাননের নতুন অঞ্চলে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে চলমান স্থল অভিযান এগিয়ে নিতে আরও হাজারো সেনা পাঠিয়েছে ইসরায়েল। এরপর গতকাল মঙ্গলবার লেবাননের মানুষের প্রতি এমন সতর্কবার্তা দিলেন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় হিজবুল্লাহর প্রয়াত প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি নিহত হয়েছেন। তবে পরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, হিজবুল্লাহ নেতা হাশেম সাফিউদ্দিন নিহত হয়েছেন কি না, সেই বিষয়ে তাদের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই।
এদিকে ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় গতকালও টানা তৃতীয় দিনের মতো রকেট ছুড়েছেন হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। এতে ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এক ভিডিও বার্তায় লেবাননের মানুষের উদ্দেশে নেতানিয়াহু বলেন, ‘লেবানন একটি দীর্ঘ যুদ্ধের অতল গহ্বরে পতিত হবে। যা দেশটিকে ধ্বংসযজ্ঞ ও দুর্ভোগের দিকে নিয়ে যাবে, যেমনটা আমরা গাজায় দেখছি। তবে আপনাদের সামনে লেবাননকে রক্ষা করার সুযোগ এসেছে।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি লেবাননের মানুষদের এটাই বলতে পারি, নিজেদের দেশকে হিজবুল্লাহমুক্ত করুন। এতেই এ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটতে পারে।’
সপ্তাহ তিনেক ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে জোরালো হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। বিমান হামলার সঙ্গে চলছে স্থল অভিযানও। লেবাননের সরকারি কর্মকর্তারা জানান, এসব হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১২ লাখ মানুষ।
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের বিমান হামলায় কাঁপছে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চল
গত বছরের ৮ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ায় হিজবুল্লাহ। দীর্ঘদিনের মিত্র হামাসকে সমর্থন দেয় হিজবুল্লাহ। এর পর থেকে সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহ আর ইসরায়েলের সঙ্গে মাঝেমধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে তা জোরালো হয়েছে।