Blog Post

CNTV CTG > সর্বশেষ > প্রথমবারের মতো সমুদ্র পথে সবজি যাচ্ছে ফ্রান্সে

প্রথমবারের মতো সমুদ্র পথে সবজি যাচ্ছে ফ্রান্সে

ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে সবজি রপ্তানি হলেও এবারই প্রথম ফ্রান্সে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সমুদ্রপথে এক কনটেইনারের একটি সবজির চালান। মিষ্টিকুমড়া, কচুরমুখী ও তেঁতুলের ওই চালানটি গত ৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে তোলা হয়। এটি আগামী ২২ জানুয়ারি ফ্রান্সে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

ওয়াক এন্ড এসএ লিমিটেড নামের চট্টগ্রামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান চালানটি ফ্রান্সে রপ্তানি করছে। চালানে ১৩ হাজার ৭১০ টন সবজির মধ্যে রয়েছে মিষ্টিকুমড়া ৭ হাজার ৪০০ টন, কচুরমুখী ৪ হাজার ৩৬০ টন ও তেঁতুল ১ হাজার ৯৫০ টন। রপ্তানির এই চালানটি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পাঠানোর শুল্কায়নের দায়িত্বে ছিল স্পিড লিংক লিমিটেড নামের ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট (সিএন্ডএফ) প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার হাফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, আমরা আগে আলু রপ্তানির কাজ করতাম সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আলু রপ্তানি নেই। এখন সবজি রপ্তানির কাজ পেয়েছি। ফ্রান্সের মতো দেশে সবজি রপ্তানি হচ্ছে এটা আমাদের দেশের জন্য ভালো খবর। কিন্তু এ রপ্তানি চলমান থাকতে হবে। মাঝপথে যেন বন্ধ হয়ে না যায়। চলমান থাকলে দেশের রাজস্ব বাড়বে। দেশের রপ্তানি আয় বাড়বে, ডলার সংকট আর থাকবে না।

ফ্রান্সে সবজি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়াক এন্ড এসএ লিমিটেডের ম্যানেজার (অপারেশন) মো. ইকবাল বাহার সৈকত বলেন, প্রথমবার সবজি রপ্তানি হয়েছে ফ্রান্সে। ৫ ডিসেম্বর জাহাজে তোলা হয় এই চালানের কনটেইনার। এটি আগামী ২২ জানুয়ারি ফ্রান্সে পৌঁছার কথা। এ চালান পাঠাতে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের কোনো প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান নেই। আছে ঢাকায়। ফলে আমাদের পণ্য চালানটি ঢাকায় নিয়ে প্যাকেজিং করা সম্ভব ছিল না। বিশেষ ব্যবস্থায় প্যাকেজিং করা হয়েছে। এখন ভালোভাবে পণ্য চালানটি ফ্রান্সে পৌঁছালেই হলো। এ চালান পৌঁছানোর পর আবার অন্য চালান পাঠানো হবে। কারণ, এ চালানের ওপর পণ্য ভালো থাকা না থাকাসহ আমাদের অনেক কিছু নির্ভর করছে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধকেন্দ্রের উপপরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, প্রথমবারের মতো কুমড়া, কচুরমুখী ও তেঁতুলের চালান ফ্রান্সে গেছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় সব রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারলে সরকারের জন্য ও ব্যবসায়ীদের জন্য মঙ্গলজনক হতো। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে রেফার কনটেইনারে সবজি রপ্তানি বাড়াতে পারলে দেশের রাজস্ব আয় বা বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি করা যেত। তবে আমদানিকারকের কাছে চালান পৌঁছাতে সময়সাপেক্ষ হওয়ার কারণে অনেকে আগ্রহ দেখান না। কিন্তু আমরা রপ্তানিকারকদের এ বিষয়ে উৎসাহিত করছি। তাই আকাশপথের পাশাপাশি চট্টগ্রাম, ঢাকার অনেক রপ্তানিকারক এখন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *